২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স॥ বরিশাল-৫ সদর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীমের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একজন পোলিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। নাজমিন আক্তার নামের ওই পোলিং কর্মকর্তা নৌকার পক্ষে সিটি করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের সরদারপাড়া এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেছেন।
একই সঙ্গে তিনি নৌকার কর্মীদের সঙ্গে শ্লোগান দেন। এরই মধ্যে এ ধরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (১ জানুয়ারি) এক প্রার্থী সংবাদ সম্মেলনের পাশাপাশি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, নারীদের নিয়ে নৌকার কর্মীরা শ্লোগান দিচ্ছেন। সেই মিছিলের অগ্রভাগে নাজমিন আক্তার লিফলেট হাতে শ্লোগান দিচ্ছেন। একই সঙ্গে তিনি পথচারীদের হাতে নৌকার লিফলেট দিয়ে ভোট চাইছেন। নাজমিন আক্তার বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের ৫নং মধ্য কড়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং একই সঙ্গে তিনি সিটি করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের সরদারপাড়া এলাকার ভোটার।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭ জানুয়ারির ভোট গ্রহণের জন্য নাজমিন আক্তারকে সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ২১ নং বাটনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি নির্বাচন কমিশন আয়োজিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।
নৌকা প্রতীকের প্রচারণায় অংশ নেয়ার সত্যতা স্বীকার করে নাজমিন আক্তার মুঠোফোনে বলেন, শীতকালীন ছুটির কারণে স্কুল বন্ধ রয়েছে। আমার চাচি বরিশাল সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রেশমি বেগমের অনুরোধে একদিন নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছিলাম।
তারপরে নৌকার পক্ষে আর কোনো প্রচারণায় অংশ নেইনি। তিনি আরো বলেন, ভোট গ্রহণের জন্য তিনি পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন। তবে পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে কোনো প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারণায় উপস্থিত থাকা যাবে না, সেটা ওই সময় মাথায় আসেনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহউদ্দিন রিপন বলেন, পোলিং কর্মকর্তা যখন নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালান, তখন তার দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। বিষয়টি লিখিতভাবে সোমবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। আমার অনুরোধ থাকবে ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য এ বিষয়টি রিটানিং কর্মকর্তা গুরুত্বেও সঙ্গে দেখবেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে ভোট গ্রহণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই। আমি অফিসের বাইরে আছি। লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তাকে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়া হবে।